ডাকসুতে ভিপি নূরের ওপর হামলা যা মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করেছে। সেদিন কি হয়েছিল।কেনই বা বহিরাগতরা এসেছিলো সেখানে। আর সেই হামলার জন্য ঘুরে ফায়ার ছাত্রলীগের নাম কেন আসতেছে। তবে ছাত্রলীগ সবসময় বলে আসছে বাইরের ছেলেদের ডাকসুতে প্রবেশের কারণেই তাদের নিজেদের মধ্যে অরাজকতা তৈরী হয়ে এ হামলার সৃষ্টি হয়েছে।

সেদিন রবিবার এ হামলা হয়.তখন ভিপি নূরসহ তার অনুসারীদের ওপর ও এ হামলা করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা।ফলে এ হামলার সাথে ছাত্রলীগের কর্মীরা যুক্ত আছে বলে পরবর্তীতে উঠে এসেছে। হামলার গুরুত্ব আহত হয়ে ভিপি নূর সোহো অন্যান্যরাও ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। সংবাদের ভিত্তিতে জানা যাই, যারা আহত হয়েছে তাদের অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়।

ঢামেকে যে কজন শিক্ষার্থী হামলায় আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে ভিপি নূর রয়েছে। এছাড়াও নূরের আপন ছোট ভাইও এ হামলায় আহত হয়। সে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। মূলত এ রকম কিছু ছাত্রদের বহিরাগত বলে আহত করা হয়েছে।

কেউ কেউ ঢাকা কলেজের ছাত্র আবার কেউ একই কলেজের অন্য বিভাগের ছাত্র আবার কেউ অন্যান্য বিশ্ববিদ্দালয়ের ছাত্র যারা বহিরাগত।

ঢাবি শিক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, এসব বহিরাগতদের উসকানিতেই ওইদিন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

নুরদের ওপর হামলার বিষয়ে ডাকসুর জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী অভিযোগ করেন, ওইদিন সকাল থেকে বহিরাগতদের নিয়ে ডাকসুতে জড়ো হন নুর। এসময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র, রড ও লাঠি ছিল। পরে ডাকসু ভবনের ওপর থেকে নুরের নেতৃত্বে তারা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন।

তবে বহিরাগতদের হামলা ও জড়ো হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ভিপি নুর। পাল্টা তিনি বলেন, ডাকসুর ভিপি-জিএসের রুমে সারাদেশের ছাত্র-জনতা আসে। ডাকসুর জিএস (গোলাম রাব্বানী) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সেখানে সারাদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ নিয়ে আসতেন। তখন কেউই বহিরাগত নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। আর এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলারও কিছু নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ওপর লাগাতার হামলার পর আমার সঙ্গে আমার সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছিল। আমিসহ তাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সন্ত্রাসের পরিচয় দিয়েছে।’

হামলার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা এই ঘটনা থামানোর জন্য চেষ্টা করেছি। আমি আর আমাদের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ডাকসু ভিপির রুমে গিয়েছি যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। কিন্তু সেখানে বহিরাগতরা ছিল। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য সে নিজেই (নুরুল হক নুর) দায়ী।’

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন