ভাইসা, গতবছরের নতুন সম্বোধন। আর মন্টু হচ্ছে ভালোবাসাহীন, ঘরহীন, পরিবারহীন মানুষের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
তকদির নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। কনটেন্ট, সংলাপ এবং চিত্রনাট্য নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষণ হয়েছে । আলোচনা সমালোচনা হয়েছে বিস্তর, এখনো হচ্ছে এবং এর রেশ থাকবে অনেক দিন। নিঃসন্দেহে এটা মুভি লাভারসদের মধ্যে একটা নতুন উন্মাদনা তৈরি করছে।
সিরিজ সংশ্লিষ্ট সকলকে হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তগদিরের অভিনয় শিল্পীরা সবাই স্বীকৃত এবং নিজ নিজ অবস্থানে তুমুল জনপ্রিয়। তাঁদের নিয়েও নতুন কিছু বলার নেই। তবে এদের মধ্যে বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছেন মন্টু ওরফে সোহেল মন্ডল।
সাবলীল ভংগিমায় শুধু সংলাপ বলেননি, বহুপাক্ষিক ভাবে ঘটনা প্রয়োজনে সুনিপুণ ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। কখনও মনে হয়নি অভিনয় করছেন। বারবার মনে হয়েছে তকদির ঘটনাকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে চলেছেন এবং ঘটনাটা মন্টুকে কেন্দ্র করেই পট পরিবর্তন করছে।
ড্রেস, কথা, হাসি, রাগ আর বড় ভাইয়ের প্রতি দ্ব্যর্থহীন অনুগত্যতা একেবারে ১০০%, যা সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আমার মনে হয়েছে, ভাইসা ডাকটা হৃদয় থেকে এসেছে, এটাতে কোনো অভিনয় ছিল না।
একেবারে শেষে যখন চঞ্চল চৌধুরী মন্টুকে বিয়ের কথা বলে তখন কী লাজুক হাসিটাই না দেয় ! একেবারে রিয়াল!
পরিশেষে বলি, ভাইসা সোহেল মন্ডল আপনি কিন্তু গুণী শিল্পী হবেন। যদি তারকা হবার লোভে পড়েন তাহলে বিস্মৃতিতে তলিয়ে যাবেন। যা আমাদের ভীষণ কষ্ট দেবে।
ছবি: ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন